জোবাইর বিন জিহাদী, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বায়তুচছালাত জামে মসজিদের কাজ বাধা প্রাপ্ত
মসজিদটি এক সময় একটা পরিচালনা কমিটির অধীনে পরিচালিক ছিল।কিন্তু তারা হটাৎ রাজনৈতিক প্রভাব ও ব্যক্তিত্ব হাসিলের উদ্দেশ্যে পরিচালনার ভার ছেড়ে দেয়।ফলে মসজিদটি অনেক বেশি অবহেলিত হয়ে যায়।
এমনকি মসজিদের ইমামের মাসিক সম্মানি দিতে অক্ষম হওয়ায় ইমাম চলে যেতে বাধ্য হন।ফলে মুয়াজ্জিন দিয়ে সম্পন্ন করতে হয় ইমামের কাজ।যদিও সমাজের অন্যান্য কার্যাবলী সম্পন্ন করতে অনেক এলাকার মসজিদ থেকে ইমাম আনা হত।এভাবে চলতে থাকে কিছুদিন।তবুও মুয়াজ্জিন এর দুই হাজার টাকা বেতন পরিশোধ করতে পর্যন্ত কষ্ট হয়ে দাড়ায় মুসল্লিদের কাছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি থেকে জানা যায়, মুয়াজ্জিন নামাযে ভুল করত অগণিত,ফলে সামাজিক কোন কাজের জন্য ইমাম ডাকা হত বাইরের মসজিদ থেকে,এই সব সহ্য করতে না পেরে একদিন মসজিদের মিম্বারে দাড়িয়ে এক যুবক ঘোষণা দিয়ে সমাজের মুরব্বীদের এগিয়ে এসে মসজিদের হাল ধরতে আহবান জানায়।বিন্তু কেউ আসল না।
তাই তারা সমবয়সী চার পাচ জন মিলে একটি উন্নয়ন উদোক্তা পরিষদ নামে পরিচালনা কমিটি গঠন করে। যাদের কষ্টের ফসল হিসেবে ইমাম মুয়াজ্জিন এর থাকার জন্য ১লক্ষ৫০হাজার টাকার বিনিময়ে একটি ঘর তৈরি করে দেয়।৮হাজার টাকা বেতনের ইমাম নিয়োগ ও ৩হাজার টাকা বেতনের মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেয় উক্ত কমিটি।
তাছাড়া মাসে প্রায় দশ হাজার টাকা নিজেদের পকেট থেকে দিতে হত বলেও জানা যায়। সমাজে বয়স্কদের কুরআন শিক্ষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের উদ্দ্যেগ গ্রহণ করে এবং বাস্তবায়ন ও করতে থাকে। অল্প দিনে সাধারন মুসল্লিদের প্রশাংসার পাত্র হিসেবে পরিনত হয় এই পরিষদ।
এর মধ্যে মসজিদের মুসল্লি সংকুলান না হওয়ায় ১কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারন করে নগদ ১০লক্ষ টাকার আড়াই হাজার বস্তা সিমেন্ট, ১০টন রড ও ১০হাজার, ২০ হাজার, ১লক্ষ টাকার অসংখ্য ওয়াদা নিয়ে মসজিদ পুর্ন নির্মাণ করার জন্য মসজিদ বিভিন্ন জিনিস প্রস্তুত করতে থাকে।
এমতাবস্তায় সমাজের তথাকতিত মুরব্বীদের সহ্য হল না।তাদের বক্তব্য,যুবকরা মসজিদ নির্মাণ করলে তাদের সম্মানে লাগে।যার ফলে কেউ রাজনৈতিক প্রভাব আর কেউ সামাজিক প্রভাব দেখিয়ে উন্নয়ন উদ্দোক্তা পরিষদ বাতিল ঘোষনা করে এবং তারা একটা কমিটি ঘোষণা করে ঐ কমিটিতে পূর্ব কমিটির কয়েকজনকেও রাখ